ফিরতি শ্রাবণ
শ্রাবণের বুঝি ফেরার সময় হলো
ধুয়ে গেছে জমা ছিলো অভিমান যত,
তবুও শ্রাবণ " তুমি তোমারই মত"।
আঁজলা ভরে আটকে রাখবো মেঘ
ভিজবো তুমুল সন্ধে নামবে যেই,
এলোমেলো মনে টুপ্ টাপ্ পিছুটান
মনের গলিতে জল জমে থৈ থৈ।
ঠিক তারপর রাত্রি নামার মুখে
আকাশ বুকে জমলে আঁধার গাঢ়,
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টিফোঁটা ছোঁব
গহীন বুকে বাড়বে মায়া আরো।
স্নিগ্ধ মধুর ভোরের আলো দেখে
আবদারী মন সংযমী হতে শেখে
বলবো তোমায় "শ্রাবণ এসো আবার"
আগলে নেবো সময় থমকে রেখে।
রীনা.....
মেঘপিয়নের বার্তা
মেঘপিয়নের বার্তা পেলো বৃষ্টি বিকেল
চোখ দুটিতে জড়িয়ে অতীত ওতপ্রোত,
কবিতারও তোমার মতোই অতর্কিতে
নিবিড় করে জড়িয়ে ধরাই স্বভাবজাত।
ইশতেহারে ভরিয়ে আকাশ নিখোঁজ হবার,
"খুঁজিস কাকে"? বললো ফানুস ফিসফিসিয়ে
"ঋণ ভুলেছে বসন্তরাও কৃষ্ণচূড়ার।"
সুনীল আবার কাব্য লিখুক নীরার নামে
শিরায় শিরায় ছুটুক আবার অ্যাড্রেনালিন
কালবোশেখীর স্পর্ধা নিয়েও আসুক ফিরে
নাই বা হলো উপস্থিতি দীর্ঘকালীন।
রীনা.....
আমায় ওরা বন্য বলে বলুক,
ওদের কথায় কি বা এসে যায়
বুকের ভেতর আগুন আছে জমা
দহন বিনে লাগছে অসহায়।
আমরা কেবল 'দূরত্ব বিধি' মানি
হঠাৎ কোনো 'মন মহামারী' ছুঁলে,
ঠিক কতটা ঘৃণার পারদ জমা ?
জানিও তোমার মনের অন্তরালে।
চাইনা কোনো ছদ্মবেশী মুখ
নিজেই পাতাই নিজের সাথে সই।
চাবুক হাতে সামলে নেবই রথ
জেনো,আমিও তেমন লক্ষ্মী মেয়ে নই।
রীনা....
অব্যক্ত
না বলা কথা, যত ব্যাকুলতা,
ঝরে যাক যত পুষে রাখা মেঘ
শ্রাবণের খামে বর্ষার নামে ,
পথ চিনে নিক কিছু আবেগ।
কখনো না বলা কথাদের মালা ছুঁয়ে যাক আজ আধখোলা ঠোঁট
মন সাহারায়, বাদল ধারায় ভেজা ভেজা
এক রূপকথা হোক।
রীনা....
স্মৃতি মেদুর
হয়তো ভোলোনি কিছুই, হৃদ অলিন্দে সব রেখেছ যত্ন করে জমা,
এক মুঠো প্রেম,উড়ন্ত চুম্বন,
আজো ভালোবাসে তোমার প্রিয়তমা।
কবিতার খাতায় আজও নিশ্চিত ভরিয়ে রেখেছো কিছু অবাধ্য শব্দের কারুকাজ,
মনে রেখেছো যখন বিগত বসন্ত, স্মৃতিমোড়া পথ, সুগন্ধি ফুল, নীল আদর মাখাঠোঁট,
পাঁজর ভাঙা প্রেমে সাজানো উষ্ণ বিকেল ফিরে পেতে তখন টুকরো স্মৃতিরা একজোট।
হেমন্ত হেমলক মনে হয় ,পারলে এই অবেলায় বৃষ্টি হয়ে একটিবার ছুয়ে যেও,
আজও বিশ্বাস করি পরজন্মে,আমাদের আবার ঠিক দেখা হবে জেনো প্রিয়।
রীনা......
কবি পরিচিতি: রীনা ঘোষের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এপার বাংলার উত্তর চব্বিশ পরগনায়। পড়াশুনা স্নাতক স্তর পর্যন্ত।বর্তমানে নৈহাটিতে বসবসকারী রীনা একজন সাধারণ গৃহবধূ। কবিতা এবং প্রবন্ধ পড়তে ভালোবাসেন স্কুলজীবন থেকেই। সম্প্রতি লেখালেখি করছেন। স্বল্পকালের মধ্যেই তিনি একাধিক কবিতা রচনা করে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন।তাঁর লেখায় প্রকৃতির ছোঁয়া লক্ষ্যনীয়।
কাব্যের জগতে রীনা আমার সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার। রীনার কাব্যিক ছন্দে এই মুহূর্তে আমি আচ্ছন্ন।
ReplyDelete